ইয়াবার সাজা মৃত্যুদণ্ড!! সাবাস !! - SohojSite Media Zone

New+Image+-+Copy

অনলাইন মিডিয়া জোন

Recent Tube

demo-image

Home Top Ad

Responsive Ads Here

Post Top Ad

Thursday, July 27, 2017

demo-image

ইয়াবার সাজা মৃত্যুদণ্ড!! সাবাস !!

Responsive Ads Here
bd-pratidin-1-2017-07-26-01
মরণনেশা ইয়াবাকে ‘ক’ শ্রেণির মাদক হিসেবে চিহ্নিত করে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান সংযোজন করে আইন সংশোধন করছে সরকার। ইতিমধ্যে প্রস্তাবিত সংশোধিত আইনের খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। আলাদা শাস্তির বিধানের ধারাও নতুন করে সংযোজন করা হচ্ছে। 

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে ১৯৯০ সালের একটি আইন বিদ্যমান রয়েছে। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোয় মাদকের যে অপব্যবহার, ব্যবসা, মাদকের চোরাচালান বেড়েছে তাতে বিদ্যমান আইন দিয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের দমন করা কঠিন হয়ে পড়ছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় নতুন করে সংযোজন হয়েছে ইয়াবার ব্যবহার। মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে প্রায় প্রতিদিনই দেশের ভিতরে ঢুকছে ইয়াবার ছোট-বড় চালান। এরপর এই ইয়াবা ছড়িয়ে পড়ছে গ্রামে-গঞ্জে। তরুণ-যুবকরা এ মরণনেশায় আসক্ত হচ্ছে। ইয়াবা ঘিরে দেশজুড়ে পরিবারগুলোয় একরকম অশান্তি বিরাজ করছে। 
কিন্তু আইনের দুর্বলতার কারণে ইয়াবা পাচার, ব্যবসা ও ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ বেশ কঠিন হয়ে পড়ছে। সূত্র জানায়, এ অবস্থায় বিদ্যমান আইনের দুর্বলতার কারণে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরা আইনের ফাঁকফোকর গলিয়ে বেরিয়ে গিয়ে আবারও একই ব্যবসায় জড়িত হচ্ছেন। 

সরকার ও প্রশাসন মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি ঘোষণা করলেও মাদককে কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। সম্প্রতি পুলিশের মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, আইনের দুর্বলতার কারণেই মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত শতকরা ৯০ ভাগ অপরাধী কোনো সাজা পাচ্ছে না। ১০ ভাগের সাজা হলেও তা খুব দীর্ঘমেয়াদি কিছু নয়। এর ফলে মাদক ব্যবসা, ব্যবহার ও চোরাচালান কোনোটাই থামছে না। এ অবস্থায় সরকার ১৯৯০ সালের মাদকবিরোধী আইন সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে। প্রস্তাবিত নতুন আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে মাদক হিসেবে ইয়াবাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এটিকে ‘ক’ শ্রেণির মাদক হিসেবে চিহ্নিত করে প্রস্তাবিত সংশোধিত আইনে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে নতুন আইন প্রণয়নের কাজ প্রায় চূড়ান্ত করা করা হয়েছে। এদিকে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক মাদক দিবস উপলক্ষে গতকাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, ‘ইয়াবা মাদকদ্রব্যের মধ্যে শীর্ষে। 

এটি এত ছোট যা সহজে বহনযোগ্য এবং এটি হাত বদল হলেই মুনাফা বাড়ে। এ দুই কারণে ইয়াবা শহর ছেড়ে গ্রাম পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। ইয়াবার বিস্তার রোধে মিয়ানমার-বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী নাফ নদে স্থায়ীভাবে মাছ ধরা নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। ’ তিনি বলেন, ‘নাফ নদ ছোট হওয়ায় মাছ ধরার নৌকায় বা ছোট ছোট নৌকায় মিয়ানমারে গিয়ে ইয়াবা বহন করে নিয়ে আসা সহজ। তাই সাময়িকভাবে ছয় মাসের জন্য নাফ নদে মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে জেলেদের পুনর্বাসন করবে সরকার। এ ছাড়া বিষয়টি নিয়ে মিয়ানমার সরকারের সঙ্গেও আমাদের কথাবার্তা হচ্ছে। আমরা তাদের নাফ নদের পাড় থেকে ইয়াবা তৈরির কারখানা সরিয়ে নিতে বলেছি। ’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ঐশীর কথা সবারই মনে আছে। আমরা চাই না সমাজে আর কোনো ঐশী তৈরি হোক। 

মাদকের করুণ পরিণতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হচ্ছে ঐশী। এ কারণে এ বছরের মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে “আগে শুনুন : শিশু ও যুবাদের প্রতি মনোযোগ দেওয়াই তাদের নিরাপদ বেড়ে ওঠার প্রথম পদক্ষেপ”। ’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ‘দেশকে মাদকমুক্ত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জিরো টলারেন্স নীতি সামনে রেখে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থাগুলো কাজ করে যাচ্ছে। ইয়াবার ভয়াবহতা রোধে সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করছে। মাদকাসক্তিমুক্ত, সুস্থ ও সুন্দর পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর। ’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানান, ‘জাতিসংঘের নির্দেশনা অনুযায়ী ২৬ জুন এ দিবস পালিত হয়ে আসছে। 

তবে ওইদিন ঈদুল ফিতরের ছুটি থাকায় সরকার এটি পরিবর্তন করে এ বছরের জন্য ২৬ জুলাই দিবসটি পালনের জন্য নির্ধারণ করে। এ কারণে আজ পালন হবে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস-২০১৭। দিবসটি উপলক্ষে আজ সকালে র‌্যালি, মাদকবিরোধী টক শো, মোবাইলে মেসেজ, সড়কে আলোকসজ্জাসহ নানা কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। ’ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা ও সেবা শাখার সচিব ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক জামাল উদ্দীন আহমেদসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

No comments:

Post a Comment

Post Bottom Ad

Pages

Contact Form

Name

Email *

Message *