শত জল্পনা-কল্পনার সেই পৃথিবীর অন্যতম আদিম ভূমি গন্ডোয়ানাল্যান্ড থেকে জম্বুদ্বীপের জন্ম। সে রকমই না জানি কত রহস্য লুকিয়ে আছে পানির নীচে! সত্যিই এই নীল গ্রহ আমাদের আরও কত কী উপহার দেবে তা এখনও অজানা।
পাঁচ মহাসমুদ্র। সাত মহাদেশ। সপ্তম আশ্চর্য। দশ দিক। এক চন্দ্র। পক্ষ দুই। অ্যালজেব্রার ভাষায় এ সবই কনস্ট্যান্ট। এই ‘ধ্রুব’ সত্যের তালিকায় কোনও বদল না হলেও নতুন এক দ্বীপের জন্ম নিয়ে বিজ্ঞানী মহলে বেশ তোলপাড় শুরু হয়েছে। কিছু দিন আগেই ‘জিল্যান্ডিয়া’ নামে এক নতুন মহাদেশের খোঁজ পেয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা। তবে এ বার সে রকম কিছু নয়, শিরোনাম হওয়ার অন্যতম কারণ, এটির অবস্থান বারমুডা ট্র্যাঙ্গেলের মাত্র ১৫০ ফুট দূরত্বে।
আটলান্তিক মহাসাগরের উপর জেগে উঠেছে এক নতুন দ্বীপ। নর্থ ক্যারোলিনার কেপ পয়েন্টে একটি ‘শেল আইল্যান্ড’ এর খোঁজ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। বারমুডা ট্র্যাঙ্গেলের খুব কাছে হওয়ায় গত এপ্রিল মাস থেকেই দ্বীপটি পর্যটকদেরও চোখে পড়েছিল। আর তখন থেকেই একটু একটু করে জেগে উঠেছে দ্বীপটি।
প্রায় এক মাইল বিস্তৃত অর্ধচন্দ্রাকার এই দ্বীপের নামকরণ করা হয়েছে ‘শেলি আইল্যান্ড’। বারমুডা ট্র্যাঙ্গেলের বেশ কিছুটা আগে পর্যন্ত ভিড় জমানো পর্যটকদের এই দ্বীপের কাছে যাওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, দ্বীপটি অত্যন্ত ভয়ঙ্কর। তার চারিদিকে বিদ্যুৎ তরঙ্গ রয়েছে। প্রচুর হাঙর ও স্টিং রে-র বসবাস ওই দ্বীপে। তা ছাড়া ডুবে যাওয়ার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
যদিও বিশেষজ্ঞরা ‘শেলি আইল্যান্ড’ এর ভবিষ্যৎ নিয়ে কিছু জানাতে পারেননি। এর আয়ু কত দিন, এর কতটুকু অংশ পানির নীচে- কোনও বিষয়েই নিশ্চিত কোনও উত্তর নেই তাঁদের কাছে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, যে ভাবে হঠাৎ জেগে উঠেছে দ্বীপটি, সে ভাবেই এক দিন চোখের নিমেষে মিলিয়েও যেতে পারে ‘শেলি আইল্যান্ড’!
No comments:
Post a Comment